রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:৪৬ পূর্বাহ্ন
দৈনিকবিডিনিউজ৩৬০ ডেস্ক : লাইসেন্সধারীদের তালিকা থাকলেও লাইসেন্সহীন বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোর তালিকা নেই স্বাস্থ্য অধিদফতরের কাছে। পূর্বের নির্দেশনা অনুসারে বুধবার (২ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি তারিক-উল-হাকিম ও বিচারপতি এসএম কুদ্দুস জামানের নেতৃত্বাধীন ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চকে অধিদফতরের পক্ষ থেকে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
গত ৩১ আগস্ট সারাদেশে লাইসেন্সপ্রাপ্ত ও লাইসেন্স প্রক্রিয়াধীন থাকা বেসরকারি হাসপাতালগুলো সম্পর্কে জানতে চেয়েছিলেন হাইকোর্ট।
আজ বুধবারের (২ সেপ্টেম্বর) মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীকে এসব বিষয়ে জানাতে নির্দেশ দিয়েছিলেন আদালত। সেই আদেশের ধারাবাহিকতায় সংশ্লিষ্ট কোর্টের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাস গুপ্তকে স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিক) ডা. মো. ফরিদ হোসেন মিয়া বেশকিছু তথ্য পাঠান।
সেসব তথ্যে উল্লেখ করা হয়েছে-
১. কোভিড ও নন-কোভিড সব হাসপাতালের তালিকা স্বাস্থ্য অধিদফতরের নির্ধারিত ওয়েবসাইটে দেওয়া রয়েছে।
২. লাইসেন্সধারী সব হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিকের তালিকা স্বাস্থ্য অধিদফতরের কাছে রয়েছে। কিন্তু লাইসেন্সহীন কোনও হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিকের তালিকা স্বাস্থ্য অধিদফতরের কাছে নেই।
৩. গত ৩১ আগস্ট পর্যন্ত ১২ হাজার ৫৪৩ টি হাসপাতাল, ডায়াগনোস্টিক সেন্টার লাইসেন্স নবায়নের জন্য আবেদন করেছে।
৪. কোন হাসপাতাল, ক্লিনিক এবং ডায়াগনস্টিক সেন্টার লাইসেন্সের জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য পাঠালে সর্বোচ্চ ৯০ দিনের মধ্যে তা নিষ্পত্তি করা হয়।
৫. স্বাস্থ্য অধিদফতরে আসা অভিযোগ নিষ্পত্তির প্রক্রিয়া ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমের (এমআইএস) মাধ্যমে পরিচালিত হয়।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাস গুপ্ত ওই প্রতিবেদন আদালতে তুলে ধরে শুনানি করেন। এসময় রিটকারীর পক্ষে উপস্থিত ছিলেন ব্যারিস্টার আব্দুল হালিম ও অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান।
পরে আদালত উভয়পক্ষের শুনানি নিয়ে রিট আবেদনটি কোর্টের কার্যতালিকা (কজ লিস্ট) থেকে বাদ দেওয়ার নির্দেশ দেন।
এর আগে গত ২৬ জুলাই বেসরকারি রিজেন্ট হাসপাতালে ভুয়া করোনা টেস্টের শিকার ব্যক্তিদের তালিকা প্রকাশ, তাদের কাছ থেকে টেস্টের নামে নেওয়া টাকা ফেরত এবং প্রত্যেক ক্ষতিগ্রস্তকে অন্তবর্তীকালীন ২৫ হাজার টাকা প্রদানের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। রিটে বেসরকারি হাসপাতালে রোগীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত বিল আদায় বন্ধে মনিটরিং সেল গঠনের নির্দেশনা চাওয়া হয়।
পাশাপাশি রিট আবেদনে দেশের সব বৈধ ও লাইসেন্সপ্রাপ্ত হাসপাতাল, ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও করোনা চিকিৎসার জন্য নির্ধারিত হাসপাতালের তালিকা প্রকাশ এবং প্রতিটি থানায় স্বাস্থ্য মনিটরিং কমিটি গঠনেরও নির্দেশনা চাওয়া হয়। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইশরাত হাসানের পক্ষে ব্যারিস্টার আব্দুল হালিম এ রিট দায়ের করেন। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সচিব ও স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক ও রিজেন্ট হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে রিটে বিবাদী করা হয়।
গত ১৯ জুলাই এসব বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসানের পক্ষে ব্যারিস্টার আব্দুল হালিম সংশ্লিষ্টদের একটি আইনি নোটিশ পাঠান। তবে সে নোটিশের জবাব না পেয়ে এ রিট দায়ের করা হয়।
এসএস